সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সকাল ৫:৫ সময়
ছবি- গরীব ,অসহায় পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দি্চ্ছেন ,কামরুল আহসান রাসেল সরকার ।
আলমগীর কবীর
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল জাতির উদ্দেশ্যে ভাষন দিবেন , তার আগেই ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা দেয়া হয়েছে। দেশের দুর্যোগ মোকাবেলায় বিষয়টি ইতিবাচক হলেও দিন এনে দিনে খায় এমন খেটে খাওয়া ও স্বল্প আয়ের মানুষ কঠিন বিপদের মধ্যে পড়েছে। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর মতো অবস্থা আগামী দিনগুলো কিভাবে চলবে সেই চিন্তায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে তাদের জীবন ভয়াবহ দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
যদিও ৬৪ জেলা প্রশাসক তাদের সহযোগিতা করবেন এমন আশ্বাস পেয়েছেন সরকারের পক্ষ থেকে । আগামী ১০ দিন কাজ না করে দৈনন্দিন রোজগারের অর্থে খেটে মানুষের পক্ষে সংসার চালানো ভয়াবহ কষ্টের। এই পরিস্থিতিতে সরকারিভাবে সহযোগিতা না পেলে অর্ধাহারে অনাহারে অনেককেই থাকতে হবে। দেখে ভাল লাগলো গাজীপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগ এর আহবায়ক জনাব কামরুল আহসান রাসেল সরকার ২০০ ( দুই শত ) গরীব অসহায় ,দুস্থ ,খেটে খাওয়া এমন পরিবারের জন্য আগামী ১ মাসের দায়দায়িত্ব নিয়েছেন । কামরুল আহসান রাসেল সরকার ইতিমধ্যে গাজীপুরের উদাহরণ হয়েছেন । সমগ্র দেশের বিত্তবানরা এই দুর্যোগকালীন সময়ে যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতার হাত বাড়ালে গরীব ,দু:খী ,অসহায় পরিবার গুলোর মুখে হাসি ফুটবে ।
সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি কার্যক্রম ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার ব্যাপারে কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে। আর এই সুযোগে ইতোমধ্যে বেশির ভাগ মানুষ গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব মহানগর ও জেলা শহর এখন খাঁখাঁ করছে। স্বল্প আয়ের ও দিন এনে দিন খেটে খাওয়া মানুষ মাথায় হাত দিয়ে কষ্টের দিনের অপেক্ষা করছে।
ঢাকাসহ সারা দেশে নারী-পুরুষ মিলে নির্মাণ শ্রমিক রয়েছে ৪০ লাখের মতো প্রায় ।
বাসাবাড়ি নির্মাণ, রাস্তাঘাট নির্মাণ, অফিস-আদালত নির্মাণ, ইটভাঙা শ্রমিক, ঘরবাড়ি রং করাসহ অনেক কিছু। এদের মধ্যে ১০ লাখের মতো মানুষ প্রতিদিনকার রোজগারে জীবিকা নির্বাহ করে। রাজধানীতে হকার রয়েছে ১০ লাখের মতো। এদের মধ্যে রয়েছে ফুটপাথের চায়ের দোকানদার, পোশাক ও জুতা-স্যান্ডেল, বেল্ট, চশমাসহ ফুটপাথ ব্যবসায়ী, রাস্তাঘাটের বাদাম বিক্রেতা, পানি বিক্রেতা, ঝাল মুড়ি বিক্রেতা, চিপস বিক্রেতাসহ অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রয়েছে। যাদের অধিকাংশই প্রতিদিনের রোজগারে সংসার চালায়। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে রিকশা-ভ্যান ও অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে এমন মানুষের সংখ্যা আছে ২৯ লাখের মতো। এর মধ্যে শুধু রাজধানীতেই ছয় লাখের মতো শ্রমিক আছে, যারা প্রতিদিনের আয়ে সংসার পরিচালনা করে থাকে। দেশে পোশাক শ্রমিক আছে ১২ লাখের মতো। এ ছাড়াও রাজধানী ও আশপাশে সিএনজি, অটোরিকশা, লেগুনা, কাভার্ড ভ্যান, উবার, পাঠাও, ট্যাক্সিক্যাবসহ অন্যান্য পেশায় অসংখ্য মানুষ নিয়োজিত রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ দিন আনে দিন খায়।
শুধু ঢাকা মহানগরে রিকশাভ্যান ও অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালায় এমন মানুষের সংখ্যা ছয় লাখ প্রায়।
এই মানুষগুলোর মধ্যে এমন অনেকেই আছে একদিন কাজে না গেলে পরের দিন না খেয়ে থাকতে হয়। ফলে সরকার এসব ছিন্নমূল প্রান্তিক মানুষের কথা চিন্তা করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে তাদের পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে।
ঢাকা শহরে ফুটপাথে ব্যবসা বাণিজ্যসহ নানা উপায়ে জীবিকা নির্বাহ করে এমন হকার আছে ১০ লাখ প্রায় । সরকারের সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর তারা সকলেই ব্যবসা বাণিজ্য শিথিল করে দিয়েছে। তারা জীবন চালাবে কেমনে? অনেকের সুযোগ আছে খাদ্য মজুদ করে রাখার। এরা তো পারবে না। তাদের সেই সক্ষমতা নেই। যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দেয় তাদের কষ্টের সীমা থাকবে না।